শরতে হেমন্তে বাংলাদেশ

শরতে হেমন্তে বাংলাদেশ

Nov 21, 2024 - 23:20
Nov 22, 2024 - 02:16
 1  17
শরতে হেমন্তে বাংলাদেশ

শরতে হেমন্তে বাংলাদেশ

                             শরতে হেমন্তে বাংলাদেশ 

                                         ফাতিমা তুজ জোহরা 

" রূপসী বাংলার বাংলাদেশ, রূপের যে তার নেইকো শেষ। "

ঋতুরঙ্গময়ী রূপসী বাংলা। বঙ্গ প্রকৃতির সাথে ছন্দময়, অনুপম রূপবদল।ঋতু পরিবর্তনে যখন অগ্নিক্ষরা গ্রীষ্মের বিবর্ণতা মুছে গেছে, যখন বর্ষার বিষণ্ণ বিধুর নিঃসঙ্গতা আর নেই, তখনই নিঃশব্দ চরণ ফেলে শরতের আবির্ভাব। মুখে তার প্রসন্ন হাসি।তার স্নিগ্ধ সৌন্দর্য অন্তরকে নাড়া দেয়। হালকা কুয়াশা আর  বিন্দু বিন্দু জমে ওঠা শিশির শরতের অন্যতম আকর্ষণ। এ ঋতুতে নদী কুলে দেখা যায় কাশফুলের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য। রাতের বেলা রজত শুভ্র জোছনার উদাস করা হাতছানি। শরতে কেবলই বর্ণের স্নিগ্ধতা আর উদারতা। জননী বাংলাদেশ আপনাকে উজাড় করে দেয় এ ঋতুতে।

 কালচক্রের আবর্তনে কেবলি পটপরিবর্তন। প্রকৃতিকে সজ্জিত করে শিশির বিছানো, শিউলি ছড়ানো পথের উপর দিয়ে শরৎ কখন নিঃশব্দে হেঁটে চলে গেছে। পথে পথে রেখে গেছে ম্লান-ঝরা শেফালী, বিষন্ন  কাশের গুচ্ছ, আর মাঠধরা নতুন ধানের মঞ্জরী। সাঁঝের পর হালকা কুয়াশাতে জোনাকিরা জলে, নেভে। সেই আলো-আঁধারি কুয়াশা গায়ে মেখে হেমন্ত আসে। বড় কুণ্ঠিত পদক্ষেপ তার। সে না এলে ঋতুচক্রে শীত আর বসন্তের আসা হবে না। কেবল সেজন্যই যেন আসে হেমন্ত।

 হেমন্ত ধুসর কুয়াশায় নয়ন থেকে ফসল ফলাবার সাধনায় থাকে নিমগ্ন। ক্ষেতে খামারে রাশি রাশি ভারা ভারা সোনার ধান উঠে। নবান্নের উৎসব হয়। হেমন্তের ফুলের বাহার নেই,সৌন্দর্যের জৌলুস নেই, রূপ সজ্জারও নেই প্রাচুর্য। আছে মমতাময়ী নারীর এক শান্ত রূপশ্রী। সে আমাদের ঘর ধানে ভরে দিয়ে নিঃশব্দে বিদায় নেয়। আর অপেক্ষায় থাকে, কখন শীত আসবে।

 এভাবে শরতে হেমন্তে বাংলার প্রকৃতি ভিন্ন ভিন্ন রূপ ধারণ করে। শরৎ যদি হয় উজ্জ্বলতার ও আনন্দের, হেমন্ত তবে বিষন্নতার। শরত সাজায় প্রকৃতিকে, আর হেমন্ত ভরিয়ে তোলে গৃহভাণ্ডার। তাই শরৎ কিংবা হেমন্ত কোনোটির মহিমাই ঋতু মঞ্চে হেলায় দেখার নয়।


Fatima Tuj Johora I'm a student of class 9,SSC 2026