বই পড়ার গুরুত্ব
বই পড়ার গুরুত্ব

বই পড়ার গুরুত্ব
ফাতিমা তুজ জোহরা
"রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে, প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে যাবে ;কিন্তু একখানা বই অনন্ত যৌবনা যদি তেমন বই হয়।"
(ওমর খৈয়াম )
আজ থেকে প্রায় হাজার বছর পূর্বে বলা ওমর খৈয়াম এর কথাটি আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। কেননা বই আমাদের শব্দহীন ভাষায় সুন্দরের গান শোনায়। নিস্কলুষ আনন্দের অর্ঘ্য দিয়ে জীবনকে করে তোলে উপভোগ্য। আর বই এর এ প্রয়োজন জ্ঞানী হবার জন্য যতটা নয়, তার চেয়ে অনেক বেশি আনন্দ লাভ করার জন্য। মহানবী (সা :)এর কাছে প্রথম ওহি এসেছিল ইকরা অর্থ পড়ুন। অর্থাৎ মানুষের জন্মই হয়েছে জ্ঞান অর্জন করার জন্য। আর জ্ঞান অর্জন করার শ্রেষ্ঠ উপায় হলো বই পড়া। কোনো জ্ঞানী,গুণী,মনীষী নয়;একজন সুশিক্ষিত মানুষ হতে হলেও বই পড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা, প্রমথ চৌধুরীর ভাষায়, সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত। বই পরে আত্মিক লাভ স্বচক্ষে দেখা যায় না বলে একে অবহেলা করা হয়, কিন্তু আমরা ভুলে যাই যে আত্মিকভাবে সুস্থ না থাকলে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা অসম্ভব। আর বই পড়ার মাধ্যমে আত্মিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে, ফলে কর্মস্পৃহা বাড়ে। বই কল্পনাশক্তি বাড়ায়, চিন্তাশক্তি বৃদ্ধি করে। বই পড়ার মাধ্যমে আত্মস্থ করার ক্ষমতা বাড়ে, তাই এটি ভালো শিক্ষার্থী হতেও সহায়তা করে। অনেকে বলে যে এখন তো তথ্যপ্রযুক্তির যুগ, তাই এখন আর বই পড়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগের টিকে থাকতে হলে, এর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে বই পড়া অপরিহার্য। পরিশেষে বলতে হয়:-
" যদি সুন্দর সমাজ গড়তে চাই
বই পড়ার বিকল্প নাই। "