আহলান সাহলান-মাহে রামাদ্বান

Sep 12, 2024 - 20:55
Sep 12, 2024 - 20:25
 0  9

অনুভূতিতে প্রতিধ্বনির স্পন্দন শুরু হয়েছে রহমত, বরকত ও নাজাতের মাস মাহে রমাদ্বানের। মুমিন জীবনে এ মাসের তাৎপর্য অনেক। এ মাসের ফজিলতে একটি হাদিস পেশ করছি। সালমান আল ফারিসী (রা) বলেন, শা’বান মাসের শেষ দিকে রসূলুল্লাহ (সা) আমাদেরকে উদ্দেশ্য করে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন, হে লোক সকল! একটি মহিমান্বিত মাস তোমাদেরকে ছায়া হয়ে ঘিরে ধরেছে। এ মাস একটি বারাকাতময় মাস। এটি এমন এক মাস, যার মধ্যে একটি রাত রয়েছে, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। আল্লাহ এ মাসের সিয়াম ফরয করেছেন আর নফল করে দিয়েছেন এ মাসে রাতের কিয়ামকে।

যে ব্যক্তি এ মাসে একটি নফল কাজ করবে, সে যেন অন্য মাসের একটি ফরয আদায় করল। আর যে ব্যক্তি এ মাসে একটি ফরয আদায় করে, সে যেন অন্য মাসের সত্তরটি ফরয সম্পাদন করল।

এ মাস সবরের (ধৈর্যের) মাস; সবরের বিনিময় জান্নাত। এ মাস সহমর্মিতার। এ এমন এক মাস যাতে মু’মিনের রিযক বৃদ্ধি করা হয়।

যে ব্যক্তি এ মাসে কোন রোজাদারকে ইফতার করাবে, এ ইফতার তার গুনাহ মাফের কারণ হবে, হবে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির উপায়। তার সাওয়াব হবে রোজাদারের অনুরূপ। অথচ রোজাদারের সাওয়াব একটুও কমানো হবে না। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের সকলে তো সায়িমের ইফতারীর আয়োজন করতে সমর্থ নয়। রসূলুল্লাহ (সা) বললেনঃ এ সাওয়াব আল্লাহ তাআলা ঐ ইফতার পরিবেশনকারীকেও প্রদান করেন, যে একজন রোজাদারকে এক চুমুক দুধ, একটি খেজুর অথবা এক চুমুক পানি দিয়ে ইফতার করায়। আর যে ব্যক্তি একজন রোজাদারকে পেট ভরে খাইয়ে পরিতৃপ্ত করল, আল্লাহ তাআলা তাকে আমার হাওযে কাওসার থেকে এভাবে পানি খাইয়ে পরিতৃপ্ত করবেন, যার পর সে জান্নাতে (প্রবেশ করার পূর্বে) আর পিপাসার্ত হবে না। এমনকি সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। এটা এমন এক মাস যার প্রথম অংশে রহমত। মধ্য অংশে মাগফিরাত, শেষাংশে জাহান্নামের আগুন থেকে নাজাত।

যে ব্যক্তি এ মাসে তার অধিনস্তদের ভার-বোঝা সহজ করে দেবে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন। তাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দেবেন।

মহান আল্লাহ আমাদেরকে রমযানের প্রতিটি রোজা সঠিকভাবে পালন করার তৌফিক দান করুন।

[সূত্র:মিশকাত: ১৯৬৫, ইবনে খুজাইমা:১৮৮৭, যঈফ আত তারগীব:৫৮৯)।


Md. Raihanur Rahman Assistant Teacher of Armed police Battalion public school and College, Bogura